সালথা প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সালথা উপজেলার শৈলডুবি গ্রামের সোহেল খান নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মা বলছেন গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। অপর দিকে বাবা বলছেন সে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার শৈলডুবি গ্রামে।
৯ আগস্ট সোমবার দুপুরে সোহেলের লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত সোহেল খান সালথার শৈলডুবি গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে। ২০১৭ সালে সালমা বেগমের সঙ্গে বিয়ের পর তাদের সংসারে এখন সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো সোহেল।
সোহেলের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, রোববার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তিনি ও তার স্বামী সোহেল একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি দেখেন বিছানায় পাশে স্বামী নেই। এরপর আলো জ্বালিয়ে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো লাশ ঝুলছে। সালমা দাবি করেন, এরপর তিনি বটি দিয়ে ওড়না কেটে লাশটি নামান এবং বাড়ির অন্যদের খবর দেন।
তবে সোহেলের মা কোহিনুর বেগম অভিযোগ করেন তার ছেলেকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোহেলের চাচা সেকেন্দারের সঙ্গে তার ছেলের বউ সালমার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে পরিবারে অনেক ঝামেলাও হয়েছে। কোহিনুর বেগম বলেন, চাচা শ্বশুরের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার জের ধরেই তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
বোন বিথী আক্তার জানান, প্রায় দুই বছর ধরে চাচা সেকেন্দারের সঙ্গে আমার ভাবির অবৈধ সম্পর্ক চলছে। রোববার রাত ৮টার দিকেও আমি চাচা ও ভাবিকে একসঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলি। বিষয়টি ফুফুকে আমি জানাই।
সোহেলের বাবা আইয়ুব খান বলেন, আমাদের সমস্যা আমরা থানায় গিয়ে মিটিয়েছি। আমাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। সোহেল ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করিনি থানায়। অভিযুক্ত সেকেন্দার খাঁর সাথে যোগযোগ করে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সালথা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে রাতেই আমি নিজে সেখানে গিয়ে আত্মহত্য্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।