জনতার খবর ডেস্ক: রেল লাইনের একটি জায়গায় প্রায় ৮ ইঞ্চি পরিমাণ ভেঙে গিয়েছিল। ওদিকে ট্রেনও আসছে, ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই তাৎক্ষণিক বুদ্ধি খাটিয়ে লাল গামছা দেখালেন এক যুবক। এতে সেই ভাঙা স্থানের কাছে এসে থেমে গেল ট্রেন। মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল ট্রেনটি ও এতে প্রায় ৩০০ যাত্রী।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকালে আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় যাচ্ছিল। পথে উপজেলার কোকতারা নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের যুবক শফিকুল ইসলাম (২৮) তাৎক্ষণিক এই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন।
পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লাইনের ভাঙা অংশটি মেরামত করে। এর দুই ঘণ্টা পর পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচবিবি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল আউয়াল জানান, শুক্রবার সকালে পাচঁবিবি স্টেশনের অদূরে ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি ওই ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যাচ্ছিল।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক শাহ আলম বলেন, ওই সময় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল ট্রেনটি। ওই যুবকের লাল গামছা নাড়ানো দেখে সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেই আমি এবং ঠিক জায়গায় এসে ট্রেনটি থামানো সম্ভব হয়। পরে নেমে দেখি, সেখানে প্রায় ৮ ইঞ্চির মতো লাইন ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় ট্রেন গেলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম নামে ওই যুবক জানান, শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে রেল লাইনের আশপাশে হাঁটাহাটি করছিলেন তিনি। এ সময় তিনি রেল লাইনে একটি ভাঙা অংশ দেখতে পান। আবার ওই একটি ট্রেনও আসতে দেখেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘর থেকে লাল গামছা এনে নাড়াতে শুরু করেন।