জনতার খবর ডেস্কঃ
রাজধানীতে সরকারি প্রায় তিন হাজার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভেঙে ফেলার কাজ দ্রুত শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। ঝুঁকিমুক্ত পুরান ঢাকা গড়তে সড়ক বড় করতে দক্ষিণ সিটিকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামছেন তারা। এছাড়া, ভবন নির্মাণে অনিয়মে জড়িতদের আনা হচ্ছে আইনের আওতায়।
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের তনুগঞ্জ লেনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেলে পড়ে ছয় তলা এই ভবনটি। পরে আবাসিকদের সরিয়ে নিয়ে সিলগালা করা হয় ভবনটি।
রাজউকের বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সামনা সামনি দুটি ভবনের রাস্তায় অন্তত ১০ ফুট জায়গা থাকার কথা থাকলেও এখানে আছে মাত্র ৪ থেকে ৫ ফুট। আর ওপরের দিকে দুটি ভবনের ফাঁকা জায়গা মাত্র এখন এক ফুট। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে বিল্ডিং কোড না মানায় রাজধানীর বেশিরভাগ ভবন রয়েছে ঝুঁকিতে। ভূমিকম্পের মত কোন দুর্ঘটনা ঘটলে রয়েছে মারাত্বক ক্ষতির সম্ভাবনা। তাই ভবন নির্মানে রাজউককে আরো তদারকির আহ্বান নগর পরিকল্পনবিদদের।
ভবন মালিক বলছেন, এক কাঠা জমিতে ছয় তলা ভবনটি নির্মাণ করেছেন তিনি। তলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফ্ল্যাটের আয়তন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ফাউন্ডেশন ছাড়াই তোলা হয়েছে ভবনটি।
শনিবার বনানীর চেয়ারম্যানবাড়িতে আগুন লাগে ছয় তলা ভবনের তৃতীয় তলায় থাকা এমিকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে। সেখানে দাহ্য পদার্থ থাকায়, ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট।
এখন রাজউক চেয়ারম্যান বলছেন, এফআর টাওয়ার দুর্ঘটনার পর রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের যে তালিকা হয়েছে তা নিয়ে কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে প্রথমেই সংস্কার বা ভেঙে ফেলা হবে সরকারি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভবন।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ভবন নির্মাণে এখন শুধু লেআউন প্ল্যান দেয়া হলেও আগামী স্ট্রাকচারাল প্ল্যান দেয়া হবে। আর বিল্ডিং ইন্সপেক্টরের পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনকে যুক্ত করতে সংশোধন হচ্ছে বিধিমালা।