রাজসাহী প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের তোহরা বেগম ও টুকটুকি বেগম ব’জ্রপাতে স্বামী হা’রিয়েছেন । স্বামীহা’রা এই দুই গৃহবধূ এখন পড়াশোনা করে সংসারের হাল ধরতে চান।
তোহরা বেগম বলেন, বিবাহিত জীবনের ২১ দিনের মাথায় স্বামীকে হা’রিয়েছি। আমরা দু-জনই এক সঙ্গে ব’জ্রপা’তে আহত হই। হাসপাতালে ভর্তির একদিন পর জ্ঞা’ন ফিরলে জানতে পারি স্বামী মা’রা গেছেন। বিয়ের আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের স্বরূপনগর এলাকার শহীদ মেহের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। এখন আবারো পড়াশোনা শুরু করতে ই’চ্ছুক তোহরা।
তাই তিনি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। অপরদিকে ব’জ্রপাতে স্বামী আসিকুলকে হা’রিয়েছেন টুকটুকি বেগম। সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের সেরাজুল ইসলামের ছেলে আসিকুল ইসলামের সঙ্গে ৪ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল নারায়ণপুর ইউনিয়নের জনতার হাট এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে টুকটুকি বেগমের।
স্বামীকে হা’রিয়ে একা হয়ে পড়ে’ছেন তিনি। তার স্বপ্ন এখন পুনরায় পড়াশোনা শুরু করা। কিন্তু তার বাবা মা গরীব বলেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন মেয়েকে। পড়াশোনা করানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই টুকটুকি সমাজের ধনীদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। ব’জ্রপাতে আল-মামুন তার পিতা ও আত্মীয়সহ ১৭ জনকে হা’রিয়েছেন।
তিনি বলেন, ব’জ্রপাতে যারা মা’রা গেছেন তারা সবাই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষ’ম ব্যক্তি। তাদের হা’রিয়ে পরিবারগুলো এখন একেবারেই অস’হায় হয়ে পড়েছেন। তাই পরিবারগুলোর কথা ভেবে এককালীন অর্থ সহায়তা করা হলে পরিবারের অসহায় সদস্যরা বাঁচতে পারবে। তবে বাবলু ও আসিকের স্ত্রীদের আবারো পড়াশোনা করিয়ে উর্পাজনক্ষ’ম হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ আগস্ট) সদর উপজেলার নারায়নপুর থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা এলাকায় যাওয়ার সময় ব’জ্রপা’তে ৫ জন মহিলাসহ ১৭ জনের মৃ’ত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন ১৩ জন।