ফেনী প্রতিনিধি::
পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় ফেনীতে স্ত্রী শিউলি আক্তারকে তালাক দেন দুবাই প্রবাসী স্বামী সোহেল। এতে ক্ষোভে সোহেলকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা । এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিউলী আক্তারকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই দম্পতির দুই সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।
রবিবার দুপুরে র্যাব-৭, ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ আল জাবের ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুবাই প্রবাসী মো. সোহেলের স্ত্রী শিউলী আক্তারকে ফেনী র্যাব ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী তার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এ হত্যাকাণ্ডে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী জানান, সোহেলের পরকীয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। ২০ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে কথাকাটির একপর্যায়ে সোহেল শিউলীকে তালাক দেন। শিউলী তালাকের কথা শুনে রান্নাঘর থেকে বঁটি নিয়ে এসে পেছন থেকে তার শরীরে আঘাত করে।
এতে সোহেল মাটিতে লুটে পড়ে। পরে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে সন্তানদের নিয়ে রাতেই ট্রেনে চট্টগ্রাম চলে যান। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ফটিকছড়ি হয়ে চৌদ্দগ্রামের সোনাপুরে চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
র্যাব সূত্র জানায়, শুক্রবার পুলিশ ফেনীর সুফি সদর উদ্দিন সড়কে চৌধুরী সুলতানা ম্যানশনের ষষ্ঠতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুবাইপ্রবাসী সোহেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সোহেলের স্ত্রী শিউলী আক্তার তার দুই সন্তানকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সোহেলের মা বাদী হয়ে শিউলী আক্তারকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।