জাপানের চন্দ্রযান ‘মুন স্নাইপার’ শনিবার নির্বিঘেগ্ন চাঁদে অবতরণ করেছে। এরফলে জাপান সফলভাবে চাঁদে অবতরণকারী পঞ্চম দেশের মর্যাদা অর্জন করলো। তবে চন্দ্রযানটির সৌর ব্যাটারি সমস্যার কারণে ‘মুন স্নাইপার’ মহাকাশযানটির ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।
একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও উদ্বেগজনক ২০ মিনিটের অবতরণ পর্ব শেষে জাপানের মহাকাশ সংস্থা এ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ) বলেছে,তার স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (এসএলআইএম) চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে এবং যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
জেএএক্সএ-এর কর্মকর্তা হিতোশি কুনিনাকা বলেছেন, সৌর কোষ গুলো কাজ না করায় উচ্চ প্রযুক্তির ‘মুন স্নাইপার’ ‘কয়েক ঘন্টা’ সক্রিয় থাকবে।
হিতোশি কুনিনাকা বলেছেন, মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এখন ডাটা সংগ্রহকে সর্বোচ্ছ অগ্রাধিকার দিতে পারে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, একবার সূর্যের কোণ পরিবর্তন হলে ব্যাটারিগুলো আবার কাজ করতে পারে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এর সৌর ব্যাটারি ব্যর্থ হয়েছে, এমন মনে হয় না। এটা হতে পারে যে, মিশনের মূল পরিকল্পিত দিকে সোলার প্যানেল মুখ ফেরাতে পারছে না।’
কুনিনাকা বলেন, ‘অবতরণ সফল না হলে, এটি খুব উচ্চ গতিতে বিধ্বস্ত হতো। যদি তা হতো, তাহলে অনুসন্ধানের সমস্ত কার্যকারিতা হারিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘তবে ‘মুন স্নাইপার’ থেকে ডাটা পৃথিবীতে পাঠানো হচ্ছে।’
প্রথম মানবযান চাঁদে অবতরণের ৫০ বছর পরে জাপনের স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (এসএলআইএম) চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে।
ক্রাশ ল্যান্ডিং যোগাযোগ ব্যর্থতা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা ব্যাপক এবং এসব মোকাবেলা করে কেবলমাত্র অন্য চারটি দেশ চাঁদে পৌঁছেছে। এগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন এবং সম্প্রতি ভারত।
নাসা প্রধান বিল নেলসন তার টুইটে ‘(জাপানকে) ঐতিহাসিক পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন,‘আমরা মহাজাগতিক অভিযাত্রায় আমাদের অংশীদারিত্ব এবং অব্যাহত সহযোগিতাকে মূল্য দিই।’