জনতার খবর ডেক্সঃ
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার মহিষকান্দি গ্রামে নির্মানাধীন সেপটি ট্যাংকির ভিতরে সেন্টারিং খুলতে গিয়ে রাজমিস্ত্রীসহ দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় কাঠালিয়া থানায় হত্যার অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৭ জুলাই বুধবার রাতে মৃত্যু মজনু মিয়ার পিতা শাহদৎ হোসেন বাদি হয়ে মহিষকান্দি গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের পুত্র বাড়ির মালিকের ছোটভাই পলাশ খানকে (২৮) প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে কাঠালিয়া থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। অন্যরা হলেন চেঁচরী রামপুর গ্রামের মোজাম্মেল মিয়া ছেলে ইলিয়াস মিয়া (২৯) এবং একওই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে রিপন (২৮)।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, মহিষকান্দি গ্রামে সেপটি ট্যাংকির সেন্টারিং খুলতে গিয়ে মিস্ত্রীসহ দুইব্যক্তি বিষক্রিয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যায়। এদের মধ্যে মজনুকে জোর করে সেপটি ট্যাংকির মধ্যে ঢুকিয়ে হত্যা করার অভিযোগে তার বাবা শাহাদৎ হোসেন বাড়ির মালিকের ছোটভাই পলাশ খানসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ জুলাই মহিষকান্দি গ্রামের মিরাজ খানের নির্মাণাধীন ভবণের সেপটি ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে রাজমিস্ত্রী আসাদুল(৩০) ভিতরে ঢুকলে সিমিন্টের বিষক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির মালিকের ছোটভাই পলাশ খান প্রতিবেশি যুবক মজনুকে ঢেকে নিয়ে মিস্ত্রী আসাদুলকে উদ্ধারের জন্য ট্যাংকির ভিতরে ঢুকতে বললে মজনুও সেখানে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরবর্তী স্থানীয় শুভ নামে আর এক যুবক ভিতরে ঢুকে দুইজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে সেও অসুস্থ্য হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্বাবর্তী ভান্ডারিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক রাজমিস্ত্রী আসাদুল ও মজনুকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।