বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬৪ জন, যা একদিনে মৃতের হিসেবে এযাবতকালের সর্বোচ্চ।
এর আগে সাতাশে জুলাই ২৫৮ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে আজকের তথ্য সহ গত এগারদিন ধরে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা দুশোর উপরে এবং আজ পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ২১ হাজার ৯০২ জন।
নতুন করে যারা মারা গেলেন তাদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ আর ১২৪ জন নারী। এর মধ্যে বাসায় ১৯ জন, আর বাকি সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্যদিকে এ সময়ে, অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৭৪৪ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলো ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জন।
দেশে শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি একশ নমুনায় শনাক্তের হার গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ১২। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৫, ৭৮৬ জন এবং এ সময়ে মোট ৪৬ হাজার ৯৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৭০৭টি পরীক্ষাগারে। বাংলাদেশে গত ৭ই জুলাই প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য বিভাগ এক দিনে দুশো মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলো।
এরপর দিন দুশোর কম হলো একদিন পরেই আবার দুশো অতিক্রম করে মৃতের সংখ্যা। পরদিন আবার কমলেও গত এগারদিনে প্রতিদিন দুশোর বেশি মানুষ মারা গেলো। বাংলাদেশে গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ।
এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল।
তবে এবছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালগুলোর ওপর যে হারে চাপ বাড়ছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।