ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ৩ থেকে ৪ জুলাই ২৪ ঘন্টায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ জন। সরকারি হিসেব মতে এর মধ্যে সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স কহিনুর বেগমসহ মারা গেছে ৩ জন। এছাড়াও করোনায় জেলায় আরও ৩/৪ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিভিল সার্জন করোনা নমুনার নেওয়ার আলাদা বুথের কথা স্বীকার করলেও হাসপাতালের ল্যাবই নমুনা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে করোনা মহামারীর শুরু থেকে ঝালকাঠি জেলায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯৫৯ জন এবং সরকারি হিসেব মতে জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। কিন্তু এ হিসাবের বাহিরেও অনেকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে গত ২ দিনে সুস্থ্য হয়েছে ১২ জন। এপর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৩৮০ জন রোগী। এ জেলায় করোনা রোগীর জন্য নেই কোনো আইসিউ বেড।
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী এ প্রতিনিধিকে বলেন, জরুরী ভাবে আইসিইউ বেড স্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঝালকাঠিতে সেন্টাল অক্সিজেন ব্যবস্থার কাজ চলছে। করোনা বেড রয়েছে ৩৫টি, আরো ২০টি বাড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে করোনা বেড প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
স্থানীয় একাধিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজেদের উদ্দোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। দিন বা রাত রোগীর অক্সিজেন প্রয়েজন হলে ফোন করলেই সিলিন্ডার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন সেচ্ছাসেবী কর্মীরা।
এদিকে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেষ্ট করার ব্যবস্থ্যা না থাকায় সেখানকার রোগীরা করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজাপুর ও নলছিটি উপজেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন ওঠানামা করছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে ঝালকাঠি জেলায় করোনা আক্রান্তের হার শতকরা ৫০ ভাগের বেশি।
স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী আবিয়ান বলেন, সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করাতে যারা আসেন, তাদের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য নেই কোনো আলাদা বুথ। হাসপাতালের ল্যাবেই নেয়া হচ্ছে নমুনা। একই ল্যাবে অন্যান্য রোগী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং রক্তদাতারা যাচ্ছে। এতে করোনা সংক্রমনের হার বাড়ছে।